ইচ্ছে পুতুল আজকের পর্ব (২১ জানুয়ারি, ২০২৪)

পর্বের সারাংশ:

ইচ্ছে পুতুল আজকের পর্ব মেঘ এবং নীল একই ট্রেনে দিল্লি যাওয়ার পথে। মেঘের মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন। নীল কি তাকে সত্যিই ভালোবাসে? নাকি সে শুধু তার সুন্দরী চেহারার জন্য তাকে বিয়ে করতে চায়?

ট্রেনে মেঘের সাথে দেখা হয় একটি মেয়ের। মেয়েটির নাম তৃষ্ণা। তৃষ্ণা একজন সাংবাদিক। সে মেঘের সাথে কথা বলে তার জীবনের গল্প জানতে চায়।

মেঘ তৃষ্ণাকে তার জীবনের গল্প বলে। সে বলে যে সে একজন গরীব পরিবারের মেয়ে। তার বাবা-মা তাকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু তার বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা তাকে নিয়ে দিল্লিতে চলে আসেন।

দিল্লিতে মেঘের মাকে খুব কষ্ট করতে হয়। সে অনেক পরিশ্রম করে মেঘকে বড় করে তোলে। মেঘ তার মায়ের জন্য সবকিছু করতে চায়।

মেঘের মায়ের ইচ্ছা ছিল মেঘ যেন একজন ডাক্তার হয়। কিন্তু মেঘের পড়াশোনা ভালো না। সে তাই একটি টেলিভিশন চ্যানেলে চাকরি নেয়।

চাকরিতে মেঘ খুব ভালো করে। সে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তার সহকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

একদিন মেঘের সাথে নীলের দেখা হয়। নীল একজন ধনী ব্যবসায়ী। সে মেঘের সুন্দর চেহারায় মুগ্ধ হয়।

নীল মেঘকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। মেঘ প্রথমে রাজি হয় না। কিন্তু তার মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য সে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়।

মেঘ এবং নীল বিয়ে করে সুখে সংসার করতে থাকে। কিন্তু মেঘের মনের মধ্যে সবসময় একটা ভয় কাজ করে। সে ভয় পায় যে নীল তাকে শুধু তার সুন্দরী চেহারার জন্য ভালোবাসে।

একদিন মেঘের সাথে তৃষ্ণা আবার দেখা হয়। তৃষ্ণা মেঘকে বলে যে সে তার গল্পটি একটি বই আকারে প্রকাশ করতে চায়। মেঘ তৃষ্ণাকে অনুমতি দেয়।

বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর মেঘের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। সে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে ওঠে।

একদিন মেঘের সাথে একটি ঘটনা ঘটে। সে একটি দুর্ঘটনায় পড়ে এবং আহত হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মেঘের অসুস্থতার সময় নীল তার পাশে থাকে। সে মেঘের সেবা করে। মেঘ দেখে যে নীল তাকে সত্যিই ভালোবাসে।

মেঘের সুস্থ হয়ে ওঠার পর সে নীলকে বলে যে সে তার জীবনের সবকিছু তার সাথে ভাগ করে নিতে চায়। নীল মেঘের কথা শুনে খুব খুশি হয়।

মেঘ এবং নীল সুখে সংসার করতে থাকে। মেঘের জীবনে নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়।

পর্বের শেষে:

মেঘ এবং নীল দিল্লিতে একটি নতুন বাড়িতে চলে যায়। তারা তাদের নতুন জীবন শুরু করে।

পর্বের মূল বিষয়:

  • প্রেম সবকিছুকে জয় করতে পারে।
  • সুন্দর চেহারার চেয়ে একজনের ভেতরের গুণাবলীই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
  • একজন সত্যিকারের বন্ধু সবসময় পাশে থাকে।
Rate this post

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *